Friday, March 22, 2024

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া ।। চিত্রা ভট্টাচার্য্য, Chitra Bhattacharya

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস )

বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া। 

চিত্রা ভট্টাচার্য্য




" পরম চেতনার পথে কবিতা ;'' লেখক কবি অরুণ দাস মহাশয়ের বই টি পড়ার পর বড়ো অবাক হয়েছি।আধুনিক কবিতা নিয়ে কবির এমন সূক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ও  প্রকাশ , এমন নিগূঢ় তত্ত্ব বোধ এর আগে বিশেষ পড়িনি। কবির ভাষায় নব  প্রজন্মের  কবিদের  কবিতা কে নিয়ে কেমন করে শিল্পের  সুউচ্চ মার্গে পৌঁছোতে হবে  ; বই টি তে আদ্যন্ত তারই প্রকাশ অনুভূত হলো। শিল্প সাহিত্য কাব্যের আঙিনায় প্রতিষ্ঠার জন্য একজন শিল্পীর মানসিক প্রস্তুতির নিপুন অনুশীলন ও বলা যায়।  অক্ষর শিল্পীর কাব্য রাজ্যে নিজেকে উৎসর্গ করার  এক মূল্যবান উপক্রমণিকা। কবি বললেন ,নব্য যুগের অক্ষর শিল্পীর কবিতা রচনা অভ্যাসে  থাকবে  নিবিড় প্রয়াস এবং কাব্যেই যাপন। একজন অতি সাধারণ পাঠক হয়ে ''এমন  নিখুঁত কাব্য দর্শন নিয়ে লেখা বই টির , আলোচনায় কী  লিখবো ? বা লেখার  যোগ্যতা কত টুকু আমার আছে ? ভেবে পাই না। 


আধুনিক কবিতায় প্রায় ই দেখি যে এলোমেলো শব্দ গুলো হঠাৎ মনে পড়েছে কবি  তাকেই কথার জালে জড়িয়ে  কবিতায়  রাখলেন। বর্তমান যুগের  কবিতার ভাষা বা কাব্য বোধ তেমন আবহ সৃষ্টি ,সুললিত ছন্দ ও শ্রবণ মাধুর্য বা শব্দের ঝঙ্কার ইত্যাদি  পাঠক মনে অনুরণন বা তেমন সাড়া জাগায় না। কবি বললেন , কবিতা পাঠে'' চক্ষু কর্ণ জিহ্বার ভূমিকা সর্বশ্রেষ্ঠ। শ্রবণেন্দ্রিয়ের সক্রিয়তার বৃদ্ধি ঘটলে বর্ণ ও শব্দের অন্তর্নিহিত ধ্বনির গভীরতম ব্যাঞ্জনা সহজেই ধরা দেয়। বর্ণ , ধ্বনি ও শব্দের অনুভব মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে সঞ্চারিত করে। '' এই প্রথম দেখলাম কবিতাকে মনোগ্রাহী করে পাঠকের দরবারে শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে গেলে তার পিছনে ও  জটিল বিজ্ঞান রয়েছে। কবি অরুণ তার বই টিতে  নিজেই এক গভীর দর্শন সূক্ষ্ণ অনুভূতির চড়াই উৎরাই ডিঙিয়ে বারংবার নানাভাবে শেখাতে চাইলেন সাহিত্যের তীর্থ ক্ষেত্রে আধুনিকতার মোড়কে মুড়িয়ে  কবিতাকে ঐশ্বর্য্য মন্ডিত করে সরস্বতীর পাদপদ্মে স্থাপনা  করতে হলে চাই স্রষ্টার সর্ব ইন্দ্রিয় দিয়ে কাব্য সুন্দরী কে অনুভব করে একাগ্র ভাবে অসীম সাধনা। 


  তিনি পরতে ,পরতে শিখিয়েছেন শিল্পীর  ধমনীতে প্রবাহিত যে শৈল্পিক চেতনা বোধ রয়েছে ,সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে তাতে  সম্পূর্ণ অবগাহন করতে হবে।  অভীষ্ট কে পেতে হলে সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে ঐকান্তিক লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে ।  নতুন যুগের  স্রষ্টা কে  বললেন মন প্রাণ সহ সকল ইন্দ্রিয় কে উৎসর্গ করো তোমার সৃষ্টির আকাঙ্খাতে । '' পরম চেতনার জ্ঞান কে উপলব্ধি করতে গেলে ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।''  চাই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের গভীর নিয়ন্ত্রণের সাথে পরমচেতনার শিল্প সৃষ্টিতে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মনের যোগের সমধিক প্রয়োজনীয়তা।  দার্শনিক  কবি স্মরণ করালেন মানব শরীরে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মন I জ্ঞানেন্দ্রিয়, বুদ্ধি ,আত্মা এগুলো এক নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া অনুভবের বিভিন্ন অংশ মাত্র। মনের সাহায্যেই ইন্দ্রিয় সমূহ দ্বারা মানুষ বিভিন্ন বিষয় অনুভব করতে পারে। আবার মন অপেক্ষা বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ। বুদ্ধি থেকে আত্মা শ্রেষ্ঠ। দেহের সব ইন্দ্রিয় জ্ঞান বুদ্ধি সবে মিলে কর্মের সাধন হয়।  


   হৃদয় স্পর্শী কবিতা লিখতে গেলে, কবিতা লেখার নিয়ম অনুসরণ না করলে কবিতা লেখা অনেক কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।  কবি অরুণ  দাস মহাশয়ের ''পরমচেতনার পথে কবিতা '' বইটি পড়ে  বারংবার  বলতে চাই আধুনিক যুগের কবিদের কাব্য সৃষ্টির প্রেরণায়  এই বইটি একটি মূল্যবান অভিধান। আগামী প্রজন্মের নব্য কথা শিল্পীদের কাছে সৃষ্টির দরজায় প্রবেশের আগে এই বইটি পথ প্রদর্শক।  বাস্তবিকই এক নতুন পথের দিশারী হয়ে থাকবে ।

Friday, October 14, 2022

Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলনের ইস্তেহার

 Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলনের  ইস্তেহার



১. Z - প্রজন্মের কবিতা 'পরমচেতনার'-র কবিতা। 


২. শব্দ নয় , বর্ণ-ই ব্রহ্ম।


৩.  বর্ণের মধ্যেই থাকে বস্তু - প্রাণী - বিষয়ের অন্তর্নিহিত  বর্ণময় জগৎ, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সত্তার অন্বেষণ, উপলব্ধি। 

বর্ণের মধ্যেই ব্রহ্মাণ্ড। 


৪. বস্তু বা দৃশ্যের বহুরূপ আমাদের মনেরই সৃষ্টি। 


৫. আমাদের অনুভূতি কোনও ইন্দ্রিয় বা কারণ সাপেক্ষ নয়।


৬. আমাদের অনুভূতি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও অনন্ত স্বরূপ। 


৭. বর্ণ - শব্দ - বাক্যের সুর-ধ্বনির ভিন্নতা, দৃষ্টিকোণের পরিবর্তন কবিতায় বহুরূপতার সূচক৷


৮. বর্জন নয়, মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান ও অনুভবের যোগ-ই কবিতায় নিত্য নতুন রূপের প্রকৃত সত্য৷


৯. মানব মননের বিভিন্ন অনুভবের সুষ্ঠু সংমিশ্রনে গড়ে ওঠে পরমচেতনার পথ৷ Z - কবিতা আন্দোলনের পথ। 


১০. ইন্দ্রিয়ের উপর কবির সুনিয়ন্ত্রণ বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ঘটলে জ্ঞানের উপলব্ধিও যথার্থ হয়। Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলন এই উপলব্ধির প্রকৃত রূপ। 


১১. বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের সক্রিয়তা বৃদ্ধি ও সুনিয়ন্ত্রণই কবিতার ভিন্ন ভিন্ন পথ ও দর্শন গড়ে তোলে। 


১২. এই কবিতা আন্দোলনে কবির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে একই দৃশ্য বা বিষয়ের নানা রূপ কবির সামনে সহজে প্রকাশ পায়। 


১৩. ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের তীক্ষ্ণতা কবিকে দেয় অতীন্দ্রিয় ও আনবিক অনুভূতিকে অনুভবের ক্ষমতা৷


১৪. পরমচেতনার মধ্য দিয়ে জড় জগৎ ও জীবনকে উপলব্ধি-ই তার যথার্থ রূপের অন্বেষণ।  Z - প্রজন্মের কবিতা আন্দোলনের পথ। 


-------------

বিস্তারিত


www.zedpoems.com  


www.zedpoems.net

Saturday, February 26, 2022

সৌতিক হাতীর কবিতা ।। Poems by Soutik Hati

সৌতিক হাতীর কবিতা 



অন্ধকারে লেখা...



অন্ধকারে বুক চিতিয়ে দাঁড়াই

          ছায়ার সাথে ছু কিত কিত খেলা

এখানে এখন শুকিয়ে যাওয়া নদী

           বন্ধ মনের অ্যালকোলাহল মেলা


মগ্ন দিনের ভগ্ন শপথ ফেলে

           নদী ভেসে গ্যাছে নিষিদ্ধ অঞ্চলে

স্মৃতি জেগে আছে সিগন্যালে সাইরেনে

             ভুল আবেশেই গ্রন্থি সব  খোলে


তুমি জেনে গ্যাছো রোবটের ঘরবাড়ি

              সিন্থেটিক গোলাপ ফুটেছে টবে

কাচঘরে আর শ্রাবণ আসে না চোখে

     সব জল আজ জমে গ্যাছে  বৈভবে


প্রত্ন দিনের মগ্ন সে পথ ছেড়ে

       হৃদি ভেসে গ্যাছে প্রসিদ্ধ নগরীতে

তুমি মেতে গ্যাছো মখমলে আইফোনে

      ভুল আবেশেই কবি সব আছে মেতে


অন্ধকারে সুখ বিছিয়ে পালাই

         মায়ার সাথে ফের লুকোচুরি খেলা

এখানে এখন শুকিয়ে যাওয়া নদী

     যদি পারো কিছু ঢেউ এনো এই বেলা



প্রলাপ


কৈশোরে ছিল অলীক স্বপ্ন অদম্য ঈগল

ফার্স্টবয় ফার্স্টবেঞ্চ কবিতা তবলা পুরস্কার

সাথে অব্যক্ত বিদিশার নিশা চেপে রাখা বিউগল

একদা বইপোকা শৈশব জুড়ে ভার্চুয়াল অন্ধকার


বিজ্ঞান না কলা বিভাগ এই দ্বন্দ্বে নষ্ট ক'বছর

গোঁফের রেখা পরিণত হওয়ার আগেই আঘাত

যূথী বনে ঝরা ফুল পাতা আঁকড়ে কংসাবতীর শহর

রঙীন গেলাসে মেশে স্মৃতি অ্যাশট্রেতে জমা হয় রাত


উদভ্রান্ত অনার্স যুবক ফার্স্টবয় লাস্টবেঞ্চ খোঁজে

অবক্ষয়ের হিসেব কবিতায় যায় আসে পরিযায়ী

মুমূর্ষু ঈগল চেয়ে থাকে শিকারী শিকার হয় সহজে

হেলেন কিংবা বনলতার অপেক্ষায় ধুঁকছে ধুমপায়ী


ঝড়ের মাঝেও সে এসেছিল সুদেষ্ণা অন্তরীপ

পরিযায়ী পাখিদের প্রলুব্ধ আক্রমনে বিধ্বস্ত আমি

জ্ঞানের অণ্বেষনে মহাভারত থেকে আমার ব-দ্বীপ

সমস্ত ক্ষত সেরে ফসলে ভরেছিল পরিত্যক্ত জমি


নিরাময় পেয়েই কবি  নীল ঘোড়ায় ছোটে

থেমে যাওয়া জরুরী থামো অ্যাড্রিনালিন রাশ

তৃষ্ণার্ত শরীর ইউলিসিসের পিপাসা ঠোঁটে

সুদেষ্ণা বিরাট রাজার দেশে এখানে ঈগলের লাশ


একটি অবাধ্য রাতের বুক চিরে

ঝরে পড়ছে উদ্ধত শিশির বিন্দু,

আবছা চাঁদের আলোয় 

ভেসে উঠছে বিগত দিনের অনুশোচনাময় অন্ধকার...


ছুঁচোর গায়ের গন্ধ আর গলির ঘেয়ো কুকুরের আর্তনাদ গিলে খাচ্ছে স্ট্রিটলাইটের রোশনাই...


এমতাবস্থায় জীবনের হিসেব নিকেশ

বুঝতে চাইছে রাতজাগা নাবিক,

ভুগোলের ক্লাস গ্লোব আর মানচিত্রের 

আঁকিবুকি হাতড়ে হাতড়ে ক্ষণস্থায়ী 

আশ্রয়ের আসন্নমান নির্ণয় করতে চাইছে সে...


চারিপাশে উড়ে যাচ্ছে চৌখস জোনাকি

তার দপ্ দপ্ শিখায় বেজে উঠছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বিপ্ বিপ্...

Thursday, February 24, 2022

দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা ।। Debarghya Sen

দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা ।। Debarghya Sen





অব্যয় 


শরীরের অন্তস্থ দ্বীপে অধিকারী আলো,

লবণাম্বুরাশি..কশেরুকা সৈকত ঘ্রাণ। 


কতদিন ছুঁইনি আবর্ত 


কেমন আছে সেসব সহজাত চণ্ডালাদি

কেমন আছে সেসব মিথ্যে স্রোত! 


দেখো মস্তিষ্কের মণ্ডপে শরীরের জলরঙে

ঘনিয়ে আসছে গোধূলি.. 


দোষ কাটিয়ে

বৃন্তকে কি জাগানো যাবে না এখনও 


শরীরের শেষ আলোয় দাগা হলে খড়িমাটি 

উভয়েই তো প্রাক চন্দ্রবিন্দু.. 


নড়ে উঠে ঝরে পড়া তুলসীপাতা অব্যয়



বেলেল্লাপনা 


ভয় নেমে আসছে

চুঁই চুঁই 

আগুনের বেলেল্লাপনা, ভালো লাগছে না আর। 


ভয় নেমে আসছে 

শৈবাল পাহাড় থেকে 


মানুষ বুঝতে পারছে না কোনদিকে যাওয়া ঠিক। 


যাদের দ্বারা ভয়কে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে 

তাদের কাছে মানুষ আশ্রয় চেয়ে 

একদা হয়েছিল সহায় 


ওহ, গণতন্ত্র তুমি আর কত নীচু হবে?



পিক্সেল


রাস্তার পাশে বড় গাছটার দুটো পাতা নড়ছে, অপ্রাকৃতিক। 

রাস্তাটা প্রাকৃতিকভাবে কেঁপে উঠবে আর কয়েক ঘন্টা পরে। 

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চারচাকা গাড়িটি দুলছে। 

রাস্তাটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে আবছা হয়ে যাবে, গণমাধ্যমের খামে 


আমি, আমার ফেসবুকে তোমার প্রোফাইল খুলে বসে আছি। 

গঙ্গার কোনও শুদ্ধিকরণ হয় না জেনে, প্যান্ট খুলে রাখছি লন্ড্রি ব্যাগে। 

লন্ড্রি ব্যাগ থেকে রিসাইকল বিন, রাস্তাটার ক্রমশঃ 

পিক্সেল কাউন্ট কমে আসছে

চোখে গঙ্গাজলের ঝাপটায়, গাড়িটিকে মাছিরা ঘিরে ধরছে, তীব্র আঁশটে গন্ধে..

নিমাই জানার ছয়টি কবিতা ।। Nimai Jana

 নিমাই জানার ছয়টি কবিতা ।। Nimai Jana




জীবাশ্ম ও বাবার বুকপকেট




জীবাশ্ম কঠিন পদার্থ হলেই প্রাচীন সংখ্যাগুলো ঠাণ্ডা সাংখ্যমান নিয়েই হলুদ জ্যামিতির কাছে শুয়ে আছে সমান্তরাল বিন্যাসে তাদের শরীরের ১৩  ডিগ্রির গভীর জ্বর ছিল এই উষ্ণমন্ডলে পাশাপাশি শুয়ে থাকার পর সকলেই গর্ভপাত ঘটায়না

যে ব্রততী মানুষেরা রাতের অ্যালকোহলিক দোকানের সামনে এসে তিনটি ঘুম রোগের ঔষধ ঠোঁটের নিচে রাখে , তারাও জননতন্ত্র হীন চৌকাঠ নিয়ে উধাও হয়ে যায় রাতের কৌণিক ঘরের দিকে, 

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নামক এক প্রাচীন অমিতাভ পুরুষ আমার ভাঙ্গা আয়নার পাশে এসে বসল বিয়োগান্ত কবিতার বিলীয়মান রং মেখে , আমি বাবা জামার বুক পকেটের দেশলাই দ্বিখণ্ডক অথবা জিংক সায়ানাইডের লাল জরায়ুর মুখ ,

কোনদিন অসীম দৈর্ঘ্যের পাশে একটি স্বরলিপি তৈরীর উৎস কেন্দ্র দোকানের কাছে একাকী মৃত মানুষের টিউরিং রিডার তৈরি করছে কম্পাঙ্ক বাতাস , প্রকৃত ভগ্নাংশের মতো সবাই অভিনেতা , তাদের তিনটি পোশাক থাকে শুধুমাত্র রাত্রিকালীন ওয়ারড্রবের জন্য ,

সহস্র অঙ্গুরীমালের গরম পাজামা খুলে ঝুলিয়ে রাখি মৃত্যুহীন নৌকার মতো এখানে কোন পুরুষ ম্যাগনিফাইং গ্লাসের তলায় নিজেদের অসৎ চেহারাগুলো লুকিয়ে রাখে নৌকার দুই হাজার বছরের কোন পুরনো অসুখ ভেবে , ভিগোরা মিনিমেক্স পারফিউমের মতো চকচকে



নীল অসুখ ও একাকী করিডোর


কোন নারী গর্ভপাত বিষয়ক অসুখকে নীল আলোর উদ্ভিদ বলতে পারেনা কারণ সকলের মৃত্যু একদিনে হয় না , মৃত্যু মুখাপেক্ষী

এখানে পরকীয়া পাথরকুচির গর্ভকেশর গুলোই একদিন বিদেহী কাগজ ফুলের আত্মা হয়ে প্রজাপতি নগরীর ঘুরে বেড়াবে বিষধর সাপের মত অথচ আমি এক খোকন নামক অদ্ভুত পুরুষকে নিয়ে যাব বৈকুণ্ঠ ভরদ্বাজ মুনির কাছে

আমি এবার নগ্ন হয়ে যেতেই পোষাকেরা বর্ণহীন হয়ে গেল , আমার লিঙ্গ মুণ্ডে বিষধর সাপ কামড়ে ধরেছে মধ্য প্রহরে

আমি কেবল শীঘ্রপতনের কথা ভেবে চলেছি

পেনিসিলিয়াম নোটেটাম ও ভৌতিক শরীরপুঞ্জ রেখে আসার পর রাত্রে যারা একটি দোকানের খোলা পাঞ্জাবিকে আবারো একবার কঙ্কাল ভেবে খুলে দেয় , তারাই আঁতকে ওঠে অ্যাড্রিনালিনের যোগফল গন্ধ শুঁকে

কেউ পরজীবী নয় যৌগিক স্বরবর্ণের মাথার উপর সকলেই হলুদ শাড়ি পরেছে আজ , নৃত্যের সময় পায়ের কড়ে আঙ্গুল থেকে প্রতিটি ভৌতিক হাসতে হাসতে একটি শ্মশানের কাছে এসে মিলিয়ে যায় আধখানা চাঁদ আর একটি জরায়ুমুখ রেখে



তৃণভোজী নাবিক ও রাজুর চা দোকান


গতকাল স্থানাঙ্ক বিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম সজনী ফুল আর তার দেহ গুলোর মতো,  আমার বাবা আসলে গভীর রাতের নাবিক তার হাতের প্রতিটি নৌকা অতলান্ত সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে এনেছে আমাদের প্রাচীন এক প্রপিতামহের বিশ্বযুদ্ধ

প্রাচীন দরজার হৃদপিণ্ডের উপর আমি শুক্রাশয়ের মতো ঝুলে থাকা একগুচ্ছ অন্ধকারের সাথে হাঁটুমুড়ে খেয়েছিলাম কাঁচা হলুদ রঙের পৌনঃপুনিক সমগ্র

আমি কেমন অস্থির হয়ে যাই খুব কম সময়ের জন্য , আমার নারী ঘুমের ভেতর একটি প্রকট শব্দ করে এই সাপেদের উপত্যকায় নেমে , পরীরা এসে মিলিয়ে যায় রেটেল স্নেকের পা ভেজানো জলের ভেতর মুখ রেখে

আমি প্যারাফিনের থালা থেকে রজনীগন্ধার গর্ভকেশর নিয়ে গলায় অ্যালকোহল ঢালছি রাজুর চা দোকানে দাঁড়িয়ে

নারায়ণ বল একটি পাললিক পাথরের নাম হতে পারে না , নাঙ্গলকাটার অবতল ভূমি ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে দেখেছি এখানে প্রতিটি মানুষের উদরদেশে একটি কালো রঙের বৃশ্চিক ঘুরে বেড়ায়

কোন মানুষ একবার সালফিউরিক দানাকে জড়িয়ে ধরলেই তারা নোনা পাথরের ঈশ্বরী হয়ে যায় খেয়াঘাটের পর



মিথোজীবী নারী ও শালগ্রাম চোখ


প্রতিটি নারী একাকী বেল পাতার মতো তিনটি পথ নিয়ে কালিদহ মুখে নেমে যায় , তারা কখনও খেয়া ঘাটে এসে রতিচক্রের কথা ভাবে না

কারণ এখানে অজস্র কালো রঙের পাথর অজগরের দাঁত হয়ে গেছে , কখনো নিধুবনের বিছানায় একাকী ক্রোমোজোমেরা বিশল্যকরণী পাতাবাহার রোপন করে দেওয়ার পর নিজের রেচন যন্ত্রগুলো ঘর্মাক্ত হয়ে উঠবে এই প্রজননকালের উর্বরক্ষেত্রে

৩৩ ডিগ্রি একটি অসুখের নাম হতে পারে হয়তো

পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ বকের শিরদাঁড়ার দিকে চেয়ে দেখেছি জীবিত স্তম্ভমূল থেকে নেমেই সকলে কাল্পনিক ঝুলে থাকে সাপের মতো আমি কতবার লিবিডো অসুখের কথা ভুলে বিষাদ স্তন খেয়েছি তৃতীয় বন্ধনীর মতো ,

আমার শীত লাগে জড়িয়ে ধরি পাগল নারীকে মিথোজীবী চন্দ্রগ্রহণ দিনে

আমার রক্তাক্ত পোশাক চাঁদে মিলে দেওয়ার পর এক প্রবাল পাথরের বাতাস বয়ে গেলো আমার দরজায় থাকা ময়ূরীর কাছে তারা সকলেই স্থির চোখ নিয়ে দেখে যাচ্ছে আমাদের পরকীয়া আর বিধ্বংস পাথর খেলা

রাত শেষ হলেই আমরা সকলেই পাথরের শালগ্রাম হয়ে যাই ,



নিষিদ্ধ মেডিকেল অথবা গর্ভপাত রোগী


আমাদের হাতে কোন অস্ত্র থাকে না বড় আর হলুদ কংক্রিট রাস্তা ধারে আমার বাবা বারবার ভ্রূণ বৃত্তান্ত পড়িয়েছিল আমাদের মাকে অথচ আমরা একটিও গ্রস্ত উপত্যকা খুঁজে পেলাম মদ্যপ ঘোরে

না কোনদিন ভিস্কোডিনে অথবা নেক্সিটো প্লাস ঘোড়াটিকে নিরাময় ভেবে আমার শরীরের চারপাশের কৌণিক বিন্দুতে স্থাপন করিনি আমার নারী আমাকে সন্দেহ করে প্রজাপতির সমবায় নগরীর মতিহার নিয়ে , মর্গে থাকা একটি সেবিকাই ডপলারের স্পন্দন শুনিয়েছিল তার নাম কাজল মল্লিক বললেই আমি লজ্জা পাই

আমি গলার কাছের বোতামটা আলগা করি

পায়ের ক্ষত মুখের তিন ইঞ্চি মাটির উপর দিকে থাকে কঙ্কালের ফসফরাস দাঁত , তেরোটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ নিজেরাই হেসে ওঠে এক পরজীবী ছায়ায়

তারা নামের পুরুষ কখনও একটি মেডিকেল শপের নিচে দাঁড়িয়ে নিজেদের নিষিদ্ধ ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরতে পারে না ,কারন তার লুব্রিকেটেড কিনতে খুব লজ্জা লাগে গর্ভপাত রোগীদের মতো

আমি তবে কি একটি সন্তানের পর সব ইস্ট্রোজেন পাথরকুচির মতো উড়িয়ে চলি বায়বীয় করে , সকল শ্বাসবায়ুকে ভালবাসেনা তাই আয়নার কাছে দাঁড়াতে নেই , আয়নার ভেতর একটি গভীর হার্টের অসুখ আছে

ঘরের ভেতর ভাঙ্গা আয়নাটি আসলে গর্ভকেশরের রক্তজালক মাত্র




একটি আততায়ী পোশাক ও ওভরাল এল


প্রতিদিন ইকোস্প্রিন ওষুধ খাওয়ার পর উচ্চরক্তচাপে মিশে যাওয়া সাদা রক্ত কণিকার গায়ে অজস্র উদ্ভেদ দেখা যায়

সূর্যমুখীর চারা গাছ ভেঙে ভেঙে আমাদের কোকিলেরা আজ ঘরমুখো বিবস্ত্র পুরোহিত

একটি বস্ত্রালয়ের নারী প্লাস্টিক নারীর সব উপাংশ রেখে যায় আমাদের কঙ্কালের নিউক্লিওপ্লাজমের কাছে

আমাদের কোন হিমশীতল ক্ষেত্র নেই , আজ দ্বারকা নগরীতে একবার ইন্দ্রপ্রস্থের পত্তন হোক

ঈশ্বর আমি ও বাবা একসাথে বিষ খেয়েছিলাম চৈতন্য পুরুষের সাথে , আমাদের জামার ভেতর আলাদা তিন অসুখ ছিল

বৈরাগ্য ,ক্রোধ ও পাটি গণিত

হত্যা করার পর এখন ভ্রূণের শরীর থেকে দারুচিনির একটি গন্ধ উড়ে আসে তাকে আমি হলুদ রং দিয়ে ঢেকে রাখি তিনটি পেন্ডুলাম ঘড়ির নিচে

২০০ মিলিগ্রামের ওভরাল এল আর চার সপ্তাহের ভ্রুণ পরস্পর সমরেখ বিন্দুতে অবস্থান করে আছে

তারা সকলেই ৪ নম্বর কেবিনের ধারালো ফরসেপের ওপর কঙ্কাল বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

আবহাওয়াবিদ ক্লোরোপ্লাস্টিড সজীব মানুষগুলোকে আপাদমস্তক লগারিদমের জটিল শিরাবিন্যাসে ঢুকিয়ে রাখে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত

আমরা সকলেই এ নেগেটিভ রক্তের সন্ধানে চললাম নীলাচলের দিকে , আমাদের শরীরে কালো রঙের আততায়ী পোশাক

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া ।। চিত্রা ভট্টাচার্য্য, Chitra Bhattacharya

"পরম চেতনার পথে কবিতা" ( লেখক অরুণ দাস ) বইটি সম্বন্ধে পাঠ প্রতিক্রিয়া।  চিত্রা ভট্টাচার্য্য " পরম চেতনার পথে কবিতা ;'...