দেবার্ঘ সেন- এর কবিতা
যোগচিহ্নে
সন্তানের জন্য কোনও ভুল হয়ে গেলে
মা আরও বেশী যত্নবান হয়ে ওঠে তার প্রতি
নেপথ্যে থেকে যায়
সামাজিক বিবেক..
ভুল কথা ভেঙে পলাশ দেখা হ'লে
আমরা সন্তর্পণে সাতলানো গুহা থেকে
চেয়ে নেব কর্কটক্রান্তি।
তুমি দেখো, ঝড় থেমে গেলে
আহত পায়রার কাছে এসে দাঁড়াবেই
এক পুকুর চোখ
যোগচিহ্নে চঞ্চল দেবশিশু..
মহোপাধ্যায়
............................
রুমালের হাতে হাত রেখে
পৌঁছে যাই সমুদ্রে
শরীর ভেসে যায়
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় প্লাবিত হয় দৈনিক
ঘামজলে ক্রমাগত পৃথক হয়ে যাই
ধাপে ধাপে নামি,
আমি আধমরা
যে হাত, রুমাল বুনেছিল
সেই হাত সমুদ্রগর্ভ থেকে ডাকে..
বৃষ্টিধারা পথ দেখায়
ঝিনুকের খামে করে আসে
মহোপাধ্যায়
সলিল বিশ্বাস
নীচে তার একটা নীল বেলুন
......................................
হঠাৎ স্বপ্নের মাঝে নীল বেলুন। উড়ছে। বিনা হাইড্রোজেন। কখনও বা পতনশীল। দুম করে একটা আওয়াজ। ফাটার। কে ফাটাল। নেই তো কেউ। আত্মহত্যা। বেলুনও আত্মহত্যা করে। বিস্ময়। অন্তর্বর্তী বায়ু চাপ। নীল বেলুন। নীল মৃতদেহ। আমি ওই বেলুন হলে কেমন হত। লেখার স্বপ্ন। শাল্মলী গন্ধ। হঠাৎ স্বপ্নের মাঝে নীল কালি। ঝরছে। বিনা উদ্দেশ্য। কখনও বা পতনশীল। দুম করে একটা আওয়াজ। ফাটার। কে ফাটাল। নেই তো কেউ। আত্মহত্যা। কালিও আত্মহত্যা করে। বিস্ময়। অন্তর্বর্তী মানসিক চাপ। নীল কালি। নীল মৃতদেহ। আমি ওই কালি হলে কেমন হত। চাবির পাটাতন। কোয়ার্টি। আলফা নিউমেরিক। একটা দাগ জ্বলছে নিভছে। কার্সার। নীচে তার একটা নীল বেলুন।
আজকাল
......................................
কর্মহীন যুবর মাতৃ হৃদয়, খটখটে রোদ
খরা জমি, শুধু উদ্বেগ আর উদ্বেগে
সেদ্ধ হয় রক্ত।
শকুন ঘরে ফেরে,
রেডিওতে বেকারত্বের মাত্রাছাড়া হার।
প্রতিটি ঘর, একেকটা চুল্লি একক
ঐতিহ্যের পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে
অধাতব অক্ষর
দরজা খুললে আর কোনও আশ্চর্য নেই
আশ্চর্য আজকাল বড্ড একঘেয়ে।
নিঃসঙ্গ সরলরেখা
...................................
ভৌগোলিকভাবে ফাঁকা ফাঁকা লাগলে
এখন হোয়ার ইজ মাই ট্রেন খুলে দেখি
রেলপথ কীভাবে একই সূত্রে গেঁথে রেখেছে
তোমার আমার নিকটবর্তী রেলস্টেশন
এক আদরের সরলরেখায়
অনন্ত হাতছানির গল্পে, ছুটে যায় ট্রেন
নিত্য তার ফেরা
সম্বল বলতে এতোটুকুই
গন্তব্য ফুরালে সব কামরাই আস্তে আস্তে ফাঁকা..
অসাধরণ লেখা দেবার্ঘ।শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ReplyDelete