দেবার্ঘ সেন- এর কবিতা ।। Debarghya Sen
দড়ি টানাটানি খেলা
(১)
চাইলে অভিযোগের স্তরে দাঁড়িয়ে একটা শলাকা গেঁথে তার নীচে জীর্ণ ঘাসেদের বুকে অনভিজ্ঞ আঘাত হেনে, অনেকধরনের কায়দা দেখানোই যেত।
কিন্তু সে কায়দায় যে রক্তের দাগ এবং ঘন ঘন ঈশ্বর উচ্চারণ, তার যে অসহায়ত্ব তার যে নির্নিমিখ প্রবাহ--- তা থেকে কৈফিয়ৎ চ্যুত হলেই তো বস্তুবাদ, শূন্যের মতো একটা স্থূলতা--- গুরুমস্তিষ্কে প্লাস্টিকের উন্মেষ ও আগত মৃতবোধ--- তা কী হৃদয় সমীচীন...
সেই সমীচীনেই হেঁটে চলে বেড়ায় আজও মানসিক স্বাস্থ্য
এই আমার মোটের ওপর অভ্যেস
অথবা তুমি বুঝে নিও এ আমার এক উন্নয়ন বোঝা---
(২)
স্বীকার ও অস্বীকারের মধ্যে
ক্রিয়াশীল পেন্ডুলাম,
তৃতীয় ঢেউয়ের মতো যুক্তাক্ষরহীন।
দুয়ারে ভেসে যাবে সব,
ধারে আর ক'দিন ভরবে পেট
স্তব্ধ ট্রাকিয়া থেকে
শিকড়ে গজাবে মৌনতা।
বাঁচার অধিকার থেকে মাস্ক পরতে হবে
তুমিও বলবে আমেন
মাস্ক পরে আত্মহত্যা করো..
(৩)
মস্তিষ্ক থেকে মনকে পৃথক করার যে ভবিষ্যৎ
তাই হল প্রেম।
শরীর মধ্যস্থিত কোনও এক সংগঠন, ক্রীড়া-প্রতিযোগিতায়
রেখে গেছে তার
দড়ি টানাটানি খেলা।
এখন এই মৃত্যুলাভের সময় বিদীর্ণ অভিধানে
কাকে তুমি বলবে মাতব্বর!!
সংক্রমণ ঘটানো যেমন সোজা কথা নয়
নয় তেমন প্রেমাভিভূত হয়ে
কেটে ফেলা স্বনির্বাচিত কবিতা সকল
(৪)
কৃত্রিম কিছু দুঃখ নিয়ে, পৃথিবী আজও ঘুরছে
সূর্যের হৃদয় থেকে ধীরে ধীরে সঞ্জাত রক্তেরা
প্রকাশ করছে, মানুষের সুখ ক্ষতি পুড়িয়ে দাও।
বিভাজিত দুঃখের মধ্য থেকে পরশ লাগুক মৌলিক দুঃখের
করোনা স্তরের ভেতর হাইড্রোজেন থেকে হিলিয়ামের পরিবর্তনে
যেভাবে উৎপাদিত আলো ও তাপ
সেই পোড়া মানুষও পুড়ুক
চিনে নিতে প্রকৃত জীবন।
প্রথম কবিতাটি যে ভাবে যতটা আমাদের আকর্ষণ করে , তুলনায় বাকি তিনটি আরও নিবিড়ভাবে আকর্ষণ করে। একটা আলাদা কবিভাষা আর সেই কারণেই একটা নিজস্বতা এখানে পাচ্ছি।
ReplyDeleteশুভকামনা অফুরান।।