সৌতিক হাতীর কবিতা
অন্ধকারে লেখা...
অন্ধকারে বুক চিতিয়ে দাঁড়াই
ছায়ার সাথে ছু কিত কিত খেলা
এখানে এখন শুকিয়ে যাওয়া নদী
বন্ধ মনের অ্যালকোলাহল মেলা
মগ্ন দিনের ভগ্ন শপথ ফেলে
নদী ভেসে গ্যাছে নিষিদ্ধ অঞ্চলে
স্মৃতি জেগে আছে সিগন্যালে সাইরেনে
ভুল আবেশেই গ্রন্থি সব খোলে
তুমি জেনে গ্যাছো রোবটের ঘরবাড়ি
সিন্থেটিক গোলাপ ফুটেছে টবে
কাচঘরে আর শ্রাবণ আসে না চোখে
সব জল আজ জমে গ্যাছে বৈভবে
প্রত্ন দিনের মগ্ন সে পথ ছেড়ে
হৃদি ভেসে গ্যাছে প্রসিদ্ধ নগরীতে
তুমি মেতে গ্যাছো মখমলে আইফোনে
ভুল আবেশেই কবি সব আছে মেতে
অন্ধকারে সুখ বিছিয়ে পালাই
মায়ার সাথে ফের লুকোচুরি খেলা
এখানে এখন শুকিয়ে যাওয়া নদী
যদি পারো কিছু ঢেউ এনো এই বেলা
প্রলাপ
কৈশোরে ছিল অলীক স্বপ্ন অদম্য ঈগল
ফার্স্টবয় ফার্স্টবেঞ্চ কবিতা তবলা পুরস্কার
সাথে অব্যক্ত বিদিশার নিশা চেপে রাখা বিউগল
একদা বইপোকা শৈশব জুড়ে ভার্চুয়াল অন্ধকার
বিজ্ঞান না কলা বিভাগ এই দ্বন্দ্বে নষ্ট ক'বছর
গোঁফের রেখা পরিণত হওয়ার আগেই আঘাত
যূথী বনে ঝরা ফুল পাতা আঁকড়ে কংসাবতীর শহর
রঙীন গেলাসে মেশে স্মৃতি অ্যাশট্রেতে জমা হয় রাত
উদভ্রান্ত অনার্স যুবক ফার্স্টবয় লাস্টবেঞ্চ খোঁজে
অবক্ষয়ের হিসেব কবিতায় যায় আসে পরিযায়ী
মুমূর্ষু ঈগল চেয়ে থাকে শিকারী শিকার হয় সহজে
হেলেন কিংবা বনলতার অপেক্ষায় ধুঁকছে ধুমপায়ী
ঝড়ের মাঝেও সে এসেছিল সুদেষ্ণা অন্তরীপ
পরিযায়ী পাখিদের প্রলুব্ধ আক্রমনে বিধ্বস্ত আমি
জ্ঞানের অণ্বেষনে মহাভারত থেকে আমার ব-দ্বীপ
সমস্ত ক্ষত সেরে ফসলে ভরেছিল পরিত্যক্ত জমি
নিরাময় পেয়েই কবি নীল ঘোড়ায় ছোটে
থেমে যাওয়া জরুরী থামো অ্যাড্রিনালিন রাশ
তৃষ্ণার্ত শরীর ইউলিসিসের পিপাসা ঠোঁটে
সুদেষ্ণা বিরাট রাজার দেশে এখানে ঈগলের লাশ
একটি অবাধ্য রাতের বুক চিরে
ঝরে পড়ছে উদ্ধত শিশির বিন্দু,
আবছা চাঁদের আলোয়
ভেসে উঠছে বিগত দিনের অনুশোচনাময় অন্ধকার...
ছুঁচোর গায়ের গন্ধ আর গলির ঘেয়ো কুকুরের আর্তনাদ গিলে খাচ্ছে স্ট্রিটলাইটের রোশনাই...
এমতাবস্থায় জীবনের হিসেব নিকেশ
বুঝতে চাইছে রাতজাগা নাবিক,
ভুগোলের ক্লাস গ্লোব আর মানচিত্রের
আঁকিবুকি হাতড়ে হাতড়ে ক্ষণস্থায়ী
আশ্রয়ের আসন্নমান নির্ণয় করতে চাইছে সে...
চারিপাশে উড়ে যাচ্ছে চৌখস জোনাকি
তার দপ্ দপ্ শিখায় বেজে উঠছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বিপ্ বিপ্...
No comments:
Post a Comment